বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে হেরে গেছেন আলোচিত ইউটিউবার স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। এই আসনের মোট ১১২টি কেন্দ্রের ফলাফলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। হিরো আলম একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজর ৫৭১ ভোট।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৮টার দিকে বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর স্বতন্ত্র হিরো আলম ফেসবুকে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে হিরো আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেছেন, আজ রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে সাংবাদিক সম্মেলন করবো আমার নিজ বাসায়। আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে, আমি এই ফলাফল মানি না।
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়েছেন। আর হিরো আলম ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে উপনির্বাচনে ২৩.৯২ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এ উপনির্বাচনে জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুর রশীদ সরকার পেয়েছেন (গোলাপফুল) ৪ হাজার ৬৪ ভোট, জাতীয় পার্টির শাহীন মোস্তফা কামাল (লাঙ্গল) ৬ হাজার ৪৪৬, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির তাজ উদ্দীন মন্ডল (ডাব) ৩ হাজার ৫৬৭, নন্দীগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল (কুড়াল) ১০ হাজার ৪৪২, নন্দীগ্রামের কুন্দারহাট ইনছান আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা (দালান) ২ হাজর ৩৯০, নন্দীগ্রামের থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস আলী (কলার ছড়ি) ৮৪৮ এবং কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান (ট্রাক) ১০ হাজার ৭৯১ ভোট পেয়েছেন।
আরও পড়ুন : ‘আমি নির্বাচনে অংশ না নিলে ভোটাররা ঘর থেকে বের হতো না’
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বুধবার ১১২টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৫৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯ জন। এর মধ্যে কাহালু উপজেলায় ৯০ হাজার ৯৬৩ জন নারী এবং পুরুষ ভোটার ৮৯ হাজার ৮৮০ জন। নন্দীগ্রামে ৭৪ হাজার ৪৭১ জন নারী এবং পুরুষ ভোটার ৭৩ হাজার ১৫৫ জন।